» প্রিয় হয়েছে :
বার

দেশের শিক্ষার্থীরা কি আদৌ মেধাবী হচ্ছে নাকি মেধাশূন্য, বাংলাদেশের শিক্ষা পদ্ধতি কি ঠিক? আপনার মূল্যবান মতামত এর জন্য অপেক্ষায় রইলাম

মূল উদ্দেশ্য ১ কোটি ছাত্র এর অধিকার প্রতিষ্ঠা। হয়ৎ এই ছোট্ট পদক্ষেপ দিয়ে কোন লাভ হবে না, তবে মোল্লার দোড় মসজিদ পর্যন্ত আমার দোড়ও টেকটিউনস পর্যন্তই।
আমি মূলত বলতে চাচ্ছি আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে অনেক বিষয় ঢুকে পরেছে যা আমার মতে প্রয়োজন নেই। প্রথমে বাংলা বিষয় দিয়েই শুরু করি। বাংলা ১ম পত্রে ক্লাস ৫-১০ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন বহু নির্বচনী প্রশ্ন হয় কবি পরিচিতি থেকে। সেখানে যা থাকে তা হল কবি দের জন্ম সাল ও নানা বৃত্তান্ত। আমি বলতে চাই আমাদের কবি দের জন্ম সাল মুখস্ত করে কি লাভ? ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষায়ও এ ধরনের প্রশ্ন হয়। আইনস্টাইনের মতবাদ,
"যে শিক্ষা আমি বাজার থেকে বই কিনে পাই তা আমি মাথায় রাখব না ।"
কম্পিউটার এর হার্ডডিস্ক এর মত আমাদের ব্রেইন এর হয়ত কোন নির্দিষ্ট জায়াগা নেই যে তার পর আমরা আর কোন কিছু মাথায় ঢুকাতে পারব না। কিন্তু এগুলা কি অযথা নয়?
আপনি কি আপনার নানার জন্ম সাল ও তারিখ জানেন? অনেকেই হয়ত জানেন আবার অনেকেই জানেন না, তারা কিন্তু আপনার পূর্ব পুরুষ, কাজি নজরুল এর মত সফল নয় বলে কি আপনি তাদের জন্ম সাল জানবেন না আর কাজি নজরুল ইসলাম এর জন্ম সাল মুখস্ত করে বসে থাকবেন? ( এই পয়েন্ট কে বাতিল বলা জেতে পারে তবে আমি আমার ৪০ জন বন্ধু কে জিজ্ঞাস করেছি, তারা কেওই তাদের দাদা নানার জন্ম সাল বলতে পারে নাই)
বাংলা ২য় পত্র কেও আমি অযথা বলতে চাই যদিও এ ব্যাপারে অনেকেরই মতামত ভিন্ন থাকবে-
আমরা বাঙালি, আপনার মা যা বলছিল তাই আপনি শিখেছিলেন ও তাই আজ ব্যাকরন। মুলত আমাদের মুখের ভাষাকে কিছু নিয়মে পরিবর্তন করে তা অন্য ভাষা-ভাষী লোকের বোধগম্য করাই ব্যাকরন এর কাজ। আমরা বাঙালি আমরা যা বলব তাই বাংলা ভাষা। কথাটা আমি আমার স্কুল এর বাংলা শিক্ষক শুনাতেই সে বলল 'তোরাই বাংলা ভাষার বারটা বাজিয়েছিস' । 'দেশ, কাল ও পাত্র' ভেদে ভাষা পরিবর্তনশীল। এবং ভাষা সহজ থেকে সহজতর হবে। যখন সংস্কৃতও ভাষা থেকে আধুনিক ভাষার প্রচলন হল তখন কার মানুষ কে তো কেও বললেন না যে তারা ভাষার বারটা বাজিয়েছে। বরং তখন ত ভাষা সহজ হয়েছে বলে সবাই খুশি। যাইহোক,
আমি বাংলা ব্যাকরণ পরতে রাজি আছি যদি কেও গ্যরান্টি দেন যে ১০০ বছর পরও এই ব্যাকরন বই এর কোন পরিবর্তন হবে না।
সামাজিক বিজ্ঞানএ বা সমাজ এ সরকারি ব্যবস্থা নিয়ে না অধ্যায় রয়েছে। যারা টিউনটি পড়ছেন তারা অনেকেই হয়ৎ পরাশুনা শেষ করেছেন। বলেন তো 'জেলা প্রশাসকের কাজ কি কি?' মাধ্যমিক এর 'বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি' বইয়ের ১২৪ নাম্বার পেজ এ তা উল্লেখ করা আছে যা একজন জেলা প্রশাসকও পয়েন্ট বায় পয়েন্ট বলতে পারবে না কিন্তু আমাদের তা মুখস্ত করে পরীক্ষায় লিখা লাগছে। আর যদি এগুলো জানা খুব প্রয়োজন হয় তবে জেলা প্রশাসক হওয়ার ইচ্চা যাদের আছে তারা জানুক।
মাধ্যমিক শ্রেণীর সমাজ বইয়ের ৪র্থ অধ্যায় টি দেখলেই বোঝা যায় তা কোন মানুষের মাথায় রাখা সম্ভব না। তাহলে তা ক্যানও বইয়ের অন্তর্ভুক্ত?
আমি বিশ্বাস করি না কোন চাকুরীজীবী মানুষ অর্থাৎ ৩৫+ বয়সী মানুষের পক্ষে মনে রাখা সম্ভব যে 'ভূ প্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ কে ৩ ভাগে ভাগ করা হয় - ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড় ২. প্লাইস্টসিন কালের সোপান ও ৩. সাম্প্রতিক কালের সমভূমি।' যদি না সে এইসব বিষয়ের গবেষক হন অথবা মাধ্যমিক শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান এর শিক্ষক হন। তাহলে এগুলো বইয়ে ক্যানও?
আপনারা সবাই হয়ৎ কর্মমুখী শিক্ষা নামে রচনা অথবা ভাবসম্প্রসারন পড়েছেন, এই কি কর্মমুখী শিক্ষা?
টিউনএ অনেক ভুল রয়েছে, ভুল গুলো শুধু উপস্থাপনের মধ্যেই সিমাবদ্ধ নয় আমার চিন্তা ধারাতেও অনেক ভুল রয়েছে। তা শুধরে দেওয়ার দায়িত্বও আপনাদের। (বলিবা মাত্র টিউন আপডেট করতে রাজি আছি)
আপনাদের দায়িত্ব টিউনটি ভাল লাগলে নানা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করা। আমি চাই কথা গুলো অনেকের কাছে পৌঁছে যাক।

No comments:

Post a Comment